অবশেষে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পেল আমন চাষীরা। আমন মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কৃষক কাঙ্খিত বৃষ্টিতে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এখন মাঠে কৃষক আমন রোপন উপযোগী করতে ক্ষেত প্রস্তুত জমি চাষ ও সার প্রয়োগ করতে দারুন ব্যস্ত। মাঠে মাঠে কলের লাঙল দিয়ে ক্ষেত চোষে বেড়াচ্ছে তাদের দম ফেলার সময় নেই।
বর্ষাকালে বৃষ্টি না হওয়ায় স্তব্ধ হয়ে গিয়ে ছিল ব্যাঙের কন্ঠ। তৃষ্ণায় সকল প্রানী জীবন হয়ে পড়ে ওষ্ঠাগত। প্রকৃতি হয়ে পড়ে রুক্ষ। দেশে বোরো মৌসুমে অতি বর্ষনে ফলনের বিপর্যয়ের পর চলতি আমন মৌসুমে খরার ধাক্কায় বেসামল হয়ে পড়েছিল কৃষক। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে প্রকৃতি প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
প্রকৃতির কাছে হার মানতে রাজী নয় কৃষক। যে কোন প্রকৃতিক দুর্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে জানে বাংলার কৃষক। বর্ষাকালে বৃষ্টি দেখা না পেয়ে কৃষক সময় নষ্ট না করে সেচ দিয়ে জমি আমন রোপন উপযোগী করতে শুরু করে দেয় অনেক কৃষক। অবশেষে কাঙ্খিত বৃষ্টি দেখা পায় তারা।
জেলা আবাহাওয়া অফিস জানায়, বগুড়ায় ২৩ জুলাই থেকে ২৫ জুলই পর্যন্ত ৭৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৩ জুলাই বগুড়ায় ৮০ মিলিমিটার, ২৪ জুলাই ৪৮০ মিলিমিটার ও ২৫ জুলাই ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি পাাত হয়েছে। খরার অবসান হওয়ায় খুশি কৃষক। আবার আগামীতে বন্যার আশংকা করছে তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, অনাবৃষ্টিতে কৃষক আগাম জাতের ব্রি ধান–৭৫, ব্রি-ধান ৮৭, বিনা ধান ১৭ সহ অন্য ধান লাগানোর জন্য কৃষক জমিতে সেচ দিয়ে জমি চাষ করে ধান লাগানো শুরু করে। এই ধান ১১৫ দিনের মধ্যে কৃষক ঘরে তুলতে পারে। কাঙ্খিত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষক নতুন উদ্যোমে আমন চাষ শুরু করেছে।
তিনি আরো জানান, জেলায় এবার ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন (চাল আকারে)। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার আশা করছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা।
এনসিএন/এ
