পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পুলিশ। বিশেষ করে শহরসহ জেলার ১২টি উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, অজ্ঞান ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে মাঠে একাধিক টিম নামানোর কৌশল ঠিক করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
একই সঙ্গে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, অফিস-আদালত, শপিংমলসহ ব্যাপক লোকসমাগম হয় এমন স্থানে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ সময় সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে তৎপর থাকার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নারী ক্রেতা সমাগম বেশি এমন মার্কেটগুলোতে নারী পকেটমার, নারীদের হয়রানি ও ইভটিজিং রোধে বিপুল সংখ্যক নারী পুলিশ মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এসব তথ্য ‘নর্থ ক্যাপিটাল নিউজ’কে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মহাসড়কের বগুড়া অংশে ডাকাতি প্রতিরোধ ও যানজট নিরসনসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলার ৩টি (শেরপুর, আদমদিঘী ও মোকামতলা) প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পবিত্র রমজান ও ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ঈদ পূর্ববর্তী ও ঈদ পরবর্তী নিরাপত্তার ব্যাপারে সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, রমজানে শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ই নয়, একই সঙ্গে রেল স্টেশন, বাস টার্মিনালে ও যানবাহনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তা ও জাল টাকার অপব্যবহার রোধ; চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোধে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনালে পকেটমার ও অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘জনসাধারণের কেনাকাটার সুবিধার্থে গভীর রাত পর্যন্ত পর্যাপ্ত নৈশটহলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বড় অংকের অর্থ পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।’
তিনি বলেন, ‘শপিংমলগুলোর সামনে অবৈধভাবে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না এবং সেখানে কোনো গাড়ি দাঁড়াতে বা অবস্থান করতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জেদান আল মুসা বলেন, ‘রমজানে শহরবাসী যেন ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফের ঘরে ফিরতে পারেন, নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারেন সে লক্ষ্যে পুলিশ শহরবাসীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও শপিংমলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেসকল মানুষ গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে যাবে তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান ও মলমপার্টির সদস্যদের অপতৎপরতা রোধে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি ও টহল অব্যাহত থাকবে।’
এনসিএন/বিআর