উত্তরাঞ্চলে বাসে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে হবে এমন আশ্বাস দিয়েছেন ফোর লেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ঘর ফেরা মানুষ।
ঈদে ঘরমুখো বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে কি না সে বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য সোমবার বেলা ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত পরিদর্শন করছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম, হাইওয়ের পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার, সাসেক্স প্রকল্পের প্রকৌশলীরাসহ জেলা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু চাঁন্দাইকোনা থেকে শেরপুর পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলাচল করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুলিশ বিভাগ। ৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে ঠিকাদার মোনেম কন্সট্রাকশনের কাজে তেমন অত্রগতি নেই। এই অংশে অধিকাংশ রাস্তা ২ লেনের পুরাতন রাস্তা। এই দুই লেনের রাস্তা দিয়ে ঈদে যাত্রী গাড়ী চলবে ধীরগতিতে অথবা থেমে থেমে। ঈদে উত্তরবঙ্গের রাস্তায় স্বস্তি মেলা কঠিন হয়ে পড়বে। রাস্তার পাশে অটো রিক্সা ও সিএনজি থ্রি-হুইলার স্ট্যান্ড যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। দুই লেনের রাস্তায় সামনের গাড়ি যদি ধীর গতির হয় তবে দ্রুততম পেছনের গাড়ীকেও ধীরে আসতে হবে। ফলে যানজট লেগেই থাকবে।
সাসেক্স ২ এর অধীনে ফোর লেনের কাজ ৬০ শতাংশ হয়েছে বলে দাবি ফোর লেনের ডেপুটি প্রোজেক্ট পরিচালক জয়প্রকাশ চৌধুরীর। তিনি জানান, ৬৫ কিলোমিটারে মধ্যে সিপিসিএল কাজ হয়েছে ৬০ শতাংশ, মনিকোর হয়েছে ৭৫ শতাংশ ও মোনেম এর হয়েছে ৬০ শতাংশ। এই কাজগুলো ওভারপাস সহ।
কিন্ত দেখা গেছে অধিকাংশ স্থানে রয়ে গেছে পুরাতন দুই লেনের রাস্তা। তিনি আরো জানান, বগুড়া শহরের মধ্যে বাইপাস দিয়ে যে ফোর লেনের রাস্তা হয়েছে তার মধ্যে দুটি ওভার পাস গোদারপাড়া ওভার পাস, বারপুর ওভারপাস খুলে দেয়া হবে ঈদের আগে। ফোর লেনের ডেপুটি প্রজেক্ট পরিচালক জয়প্রকাশ চৌধুরী জানান, গতবারের চেয়ে এবার ঈদে ঘর মুখো মানুষ অনেকটাই নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরবে।