ঠাকুরগাঁওয়ের কবরস্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় খায়রুন আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ এলাকার সনগাঁও গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে সাদেকুল ইসলামের মেয়ে খায়রুন আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাজমুল হকের। বিয়ের পর ওই দম্পতির কোনো সন্তান জন্ম না হয়া মাঝেমধ্যেই ঝগড়া বিবাদ হতো, এবং খায়রুন আক্তারকে বিভিন্ন সময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর গেল পাঁচ দিন আগে কাজের সুবাদে কুমিল্লায় যান নিহতের স্বামী তাজমুল হক। এরই মধ্যে একদিন বাড়িতে এসে খায়রুন নাহারকে হত্যা করে আবারও কুমিল্লায় চলে গেছেন এমনটাই ধারনা পরিবারের। এ অবস্থায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা।
নিহতের চাচাশ্বশুর এ কে এম মানিক বলেন, রাতে খায়রুন ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একপর্যায়ে ভুট্টাখেতে তার জুতা দেখে সন্দেহ হলে খোঁজ করতে করতে তার শ্বশুরের কবরের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান খায়রুন আক্তার। সকালে তাকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। পরে বাড়ির পাশের একটি স্থানে তার জুতা পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে অনুসরণ করে পুরোনো কবরস্থানে গিয়ে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। মরদেহের ওপর শুকনো পাতার স্তর দিয়ে ঢাকার চেষ্টাও করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত সরকার বলেন, মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে।
