জুলাই ১৪, ২০২৫ ১:৫৬ এএম

কেঁচো সার তৈরী করে সফল পোরশার চাঁনবতি

Oplus_16777216
Oplus_16777216

নাম চাঁনবতী। বয়স আনুমানিক ৩৮বছর। ক্ষুদ্র ন-ৃগোষ্ঠী পরিবারে তার জন্ম। পরিবার অসচ্চলতার কারনে পড়ালেখা করা হয়নি। অবশেষে বিয়ের বয়স হয়েই বাবা-মার পছন্দে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ছাওড় ইউপির কামারধা গ্রামের সমা তিগ্যার সাথে বিয়ে হয় তার। তবে ছোটবেলা থেকেই চাঁনবতীর স্বপ্নছিল উদ্যোক্তা হওয়ার। নিজে কিছু একটা করে সবাইকে চমক লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু বাবার অভাবী সংসারে ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করবেন। এরই মধ্যে বাবা বিয়ে ঠিক করেছেন জেনে আরো চিন্তিত হয়ে যান তিনি।

বাবার ইচ্ছায় বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে আসেন চাঁনবতী। এসে দেখেন স্বামী কখনো ভ্যান চালায় আবার কখনো অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এভাবে অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে সংসার চলে তার। এরই মধ্যে তাদের সংসারে ১ছেলে ও ১ মেয়ের জন্ম হয়।

পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে সংসারে অভাব-অনটন প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এসময় চাঁনবতী সেই আগের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। সে স্বপ্নকে মাথায় রেখে শুরু করেন কেঁচো সার তৈরী এবং বিক্রির ছোট একটি উদ্যেগ।

চাঁনবতী জানান, নিজ বাড়ির উঠানের একপাশে প্রথমে ২টি রিং পার্টে কেঁচো সার তৈরী শুরু করেন। এতে তিনি সফল হয়ে ৮টি রিং পার্টে কেঁচো সার তৈরী করছেন। কেঁচো বা ভার্মি কম্পোস্ট সার নামে এই সার স্থানীয় কৃষকরা নিয়মিত ক্রয় করে জমিতে ব্যবহার করছেন।

স্থানীয় কৃষকরা তার নিকট থেকে প্রতি কেজি কেঁচো সার ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যান। এতে প্রতিমাসে তিনি ৪ হাজার টাকার বেশী আয় করছেন। এই সার দিয়ে তিনি নিজে পিয়াজ, রসুন, সিম ও বিভিন্ন শাক-সবজী চাষাবাদ করেন এবং নিজে খেয়ে অতিরীক্ত সাক-সবজী বিক্রি করেন। এতে তার সংসার এখন ভাল চলছে বলে তিনি বলেন। আগামীতে তিনি আরো বেশী কেঁচো সার তৈরী বাড়াবেন বলে জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মামুনূর রশিদ বলেন, বাজারের রাসায়নিক সারের চেয়ে কেঁচো সারের দাম তুলানামূলক অনেক কম। এই সার প্রয়োগে ফসলের রোগবালাই অনেক কম হয়। তিনি সকল কৃষকদের তাদের ফসলে কেঁচো সার প্রয়োগ করার জন্য বলেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print