নওগাঁর রাণীনগরে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৭১৯ কেজি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়ি থেকে এসব চাল পাওয়া যায়।
অভিযানে চালগুলো জব্দ করেন রাণীনগরের এসিল্যান্ড নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নওশাদ হাসান। পরে চালগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
শেখ নওশাদ হাসান জানান, উদ্ধারকৃত চালগুলো সরকারি, নাকি অন্য চাল তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে, তদন্তের পর বলা যাবে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, জব্দকৃত সব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল। এসব চাল বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইটের। তিনি ও তার সহযোগীরা এসব চাল ওই বাড়িতে রেখেছিল। এই চালের মূলহোতা ডিলার সুইট। স্থানীয়রা আরও বলছেন, চালের বস্তার পাশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের সরকারি খালি বস্তা পড়ে ছিল। আর চালগুলো অন্য প্লাষ্টিকের বস্তায় প্যাকেট করা ছিল। এমনকি রাতে ওই বাড়িতেই চাল মাপজোকের কাজ চলছি। তাদের অভিযোগ- এসব চাল বাহিরে বেশি দামে বিক্রির জন্য ওই বাড়িতে রাখা হয়েছিল। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি শেখ নওশাদ হাসান। অভিযানে ওই বাড়িতে ৫০ কেজি ওজনের ৩৪ বস্তা চাল এবং ১৯ কেজি চালের একটি বস্তা পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আশরাফ আলী বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে জানতে পারি ডিলার সুইট আমার বাড়িতে চাল রেখেছে। আমি তাকে চাল নিয়ে যেতে বললে তিনি পরে নিয়ে যাবে বলে জানায়। এরপর আমি আর কিছু জানিনা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজার পয়েন্টের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার শহিদুল ইসলাম সুইট বলেন, চালগুলো আমার না। বাড়ির মালিক আমার নামে মিথ্যা কথা বলছে।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাকিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
