গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি আগেও জানিয়েছি, আবারও জানাচ্ছি, গণঅভ্যুত্থানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। আহতদের দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন নতুন তথ্য পাওয়ার ভিত্তিতে এই তালিকা হাল নাগাদ করা হতে থাকবে।
তিনি বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার তার যাত্রা লগ্নে ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। এখন সে ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছে। সব শহীদ পরিবার এবং আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসহ তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এই ফাউন্ডেশন গ্রহণ করছে। এই ফাউন্ডেশনে দান করার জন্য দেশের সব মানুষ এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শিল্প-কারখানা বন্ধ হলে দেশের অর্থনীতিতে আঘাত পড়বে।
দায়িত্ব নেয়ার এক মাসের মাথায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
সরকার পতনের তিন দিন পর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন। সেদিনেই জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।
এর ১৭ দিন পর জাতির উদ্দেশে দ্বিতীয় দফায় ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। দায়িত্ব নেয়ার পর দুই সপ্তাহ না যেতেই দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যার ধাক্কা সামলাতে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। তার মধ্যেই ২৫ অগাস্ট দ্বিতীয় দফা ভাষণ দেন তিনি।