বগুড়ার শাজাহানপুরে গোহাইল ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে প্রতিষ্ঠানে সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকি ও অধ্যক্ষ কোটি টাকা বানিজ্যের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
সেই সাথে নিয়োগ বোর্ড থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিকেও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৯ জুন) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল প্রতিষ্ঠানে সভাপতি আলী ইমাম ইনোকী উক্ত নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ/আর্থিক লেনদেনের একটি অভিযোগ রয়েছে। এই মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি অডিও রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মোঃ আরাফাত হোসেন স্বাক্ষারিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুল ও সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের পর জেলা শিক্ষা অফিসার কে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে গত ০৪ এপ্রিল ২৪ ইং তারিখে, গোহাইল ইসলামিয়া স্কুল ও কলেজ কর্মচারী নিয়োগ কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম ইনোকি ও অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুকুলের পরস্পর যোগসাজসে কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযোগের অভিযোগ তুলে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, “গোহাইল ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সক্রিয় অভিভাবক। অত্র প্রতিষ্ঠানের ০৯ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছে। এই নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে এলাকায় একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বিদ্যালয়ের পুকুর পত্তন এর টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রয়, রাস্তার সরকারি গাছ চুরির অভিযোগ রয়েছে এবং বর্তমানে এই ম্যানিজিং কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার বিচারাধীন রয়েছে। আমি গোহাইল ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের তদন্ত সাপেক্ষে নিয়োগ বাতিল সহ আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য আবেদন করেন।
কল রেকর্ড ও অভিযোগের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। তারা জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”