চট্টগ্রামের সংবাদ সংগ্রহকালে দুই গণমাধ্যমকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আজাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ডবলমুরিং থানার সামনে বকেয়া বেতনের দাবিতে চলমান শ্রমিকদের বিক্ষোভের সংগ্রহকালে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী যায়যায়দিনের প্রতিনিধি শাহেদুল ইসলাম মাসুম এবং আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সংবাদ সংগ্রহে গেলে তাদের ধাওয়া দেয়া হয়। এসময় তাদের মোবাইল ও মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে দুর্ব্যবহার করেন ওসি।
এক পর্যায়ে মাসুমকে হাজতখানায় ঢুকানোর নির্দেশনাও দেন তিনি। এসময় তাকে টেনেহিচড়ে থানা হাজতখানা নিয়ে যায় পুলিশ। প্রায় ২০ মিনিট হাজাতখানায় আটকে রাখা হয়। পরে অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের তোপের মুখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিএমআরইউ)। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ওসির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেয় সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবির আহমেদ বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের ২(খ) মতে মতপ্রকাশ ও সংবাদ সংগ্রহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনের সময় প্রশ্ন করা বা তথ্য সংগ্রহের কারণে সাংবাদিককে আটক সংবিধান বহির্ভূত। মৌলিক অধিকারে এমন হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।