বাংলাদেশের একটি আদালত টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
রোববার (১৩ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত মামলা পর্যালোচনা করবেন ঢাকার একটি আদালত।
ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনার মেয়ে। শেখ হাসিনার পতনের আগে তিনি যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি একটি ফ্ল্যাট সংক্রান্ত বিতর্ক এবং পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের জেরে তার বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়।
ঢাকার আদালতে মামলাটি আজ পর্যালোচনার জন্য তালিকাভুক্ত রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে টিউলিপ সিদ্দিক নিজ প্রভাব খাটিয়ে মা শেখ রেহেনা, ভাই রেদওয়ান ববি সিদ্দিক ও বোন আজমিনা সিদ্দিকসহ আত্মীয়দের জন্য পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ আদায় করেন।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, টিউলিপ আত্মসমর্পণ না করলে বিদেশি কোনো মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তিনি বিবেচিত হবেন। এরপর বিচারের জন্য ব্রিটেনের কাছে তাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ।
পূর্বাচলে প্লট বাগিয়ে নেওয়ার মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পরিবারেই ছয়জন রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউরো আত্মসাতের অভিযোগে নাম আসে টিউলিপ সিদ্দিকের। এ খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর চাপে পড়েন তিনি। এরপর খবর প্রকাশিত হয়, লন্ডনে হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া একটি ফ্ল্যাটে থাকেন টিউলিপ। কিন্তু ২০২২ সালে ডেইলি মেইলকে তিনি মিথ্যা কথা বলেন। তিনি জানান, ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সত্যটা বের হয়ে আসে। এ পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন। এখন তার বিরুদ্ধে পূর্বাচলের প্লট বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল