আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান হল সংসদে আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার কৃতি সন্তান ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি ওই হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২০২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমান ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরী গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে। তার বাবা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় দলের প্রতি তার আলাদা একটা টান রয়েছে। শহিদ জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন সংগ্রাম, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশ বাঁচানোর আন্দোলনে উজ্জীবিত হন তিনি। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজে পড়াশোনার সময় থেকে সে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনটির বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে যেতেন। ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর দুঃসম্পর্কের এক মামার মাধ্যমে ছাত্রদলের রাজনীতিতে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি শেখ মুজিবর রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। আসন্ন ডাকসু শেখ মুজিবর রহমান হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিগত দিনে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিপদে আপদে পাশে থেকেছি। আমি স্কুল জীবন থেকে খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার অর্জন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপার্টমেন্টেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। শেখ মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা সঠিক নির্দেশনা ও লজিস্টিক সাপোর্ট পেলে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে কাজ করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। নির্বাচনে জয়ী হই বা না হই, শেখ মুজিব হল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গনের বিকাশ, সংস্কার ও উন্নয়নে তিনি সর্বদা পাশে থাকবো। এছাড়াও হলে সিট বাণিজ্য, গেস্টরুমের নামে ভয়ভীতি, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণ- এসবই শিক্ষার্থীদের কাছে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। এসব দখলদার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবো। সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
