ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৪:৫৫ অপরাহ্ণ

তাঁতশিল্পীরা ‘দুর্দিন’বাপ-দাদার পেশা তাই আঁকড়ে আছি

প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে অব্যাহত লোকসানে দুর্দিন নেমে এসেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রাজবাড়ি এলাকার তাঁতী পরিবারে। অনেকে ছেড়েছেন পেশা। কাজের অভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তারা। 

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন কাকিনার রাজবাড়ীর তাঁতশিল্পীরা। একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত। অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। বাপ-দাদার পেশা বলে কেউ কেউ ধরে রেখেছেন।

তাদের মধ্যে একজন কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের রাজবাড়ীর তাঁতিপাড়া গ্রামের শফিয়ার রহমান। বাপ-দাদার এ পেশা ছাড়তে না পারলেও লোকসান ঠিকই গুনতে হচ্ছে তাকে।আমজাদ হোসেন বলেন, মূলধন যোগান ও পণ্য বিপনণের ব্যবস্থা করা গেলে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে এই শিল্প। এতে ঐহিত্য ধরে রাখার পাশাপাশি বাড়তি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

কাকিনার তাঁত শ্রমিক মনোয়ারা বেগম বলেন, আমাদের মজুরি কম, কোন বোনাসও নেই। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা ভালো নেই। বেঁচে আছি এক রকম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি।কাকিনা গ্রামে ২ শতাধিক তাঁতী ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা নেমেছে হাতে গোনা কয়েকটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে কিছু চরকা চললেও বেশির ভাগই বন্ধ। বাজারে সুতা-রংসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচার বাড়নো হলে এই শিল্প তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আশা করছেন পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা।

শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন। কাকিনার তাঁত শিল্পের মন্দা ঠেকাতে মূলধন সহায়তা প্রশিক্ষণ ও বাজারজাত করণের সুবিধার দাবি জানিয়েছেন তাঁতী পরিবারগুলো।

কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুকান্ত সরকার তিনি বলেন, তাঁত শিল্প আমাদের একটা অন্যতম ঐতিহ্য কাকিনায় কিছু তাঁত শিল্প রয়েছে তাদের দক্ষতার মধ্য দিয়ে অতি সুন্দর তাঁত শিল্পের পণ্যগুলো তারা তৈরি করে আসছে আমাদের সমাজসেবা অফিস থেকে তাদের জন্য ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে তাদের মধ্যে যদি কোন প্রতিবন্ধী থেকে থাকেন প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সুবিধা আমরা দিতে পারি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print