বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনী ট্রেন চালু হয়ে গেছে। সেই ট্রেনের যাত্রী হবে দেশের শান্তি ও উন্নয়ন প্রত্যাশী জনতা। তারা আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাবে ইনশাল্লাহ। দেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। সুষ্ঠু ও গহণযোগ্য নির্বাচনে জন্য যা দরকার তা সম্পন্ন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিশাল আনন্দ র্যালি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। জনগনের ভোটের মাধ্যমেই দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যতীত ও জনগণের রায় ছাড়া কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্টায় আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করেছে। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাই দেশে গনতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখতে দেশবাসী আবারো নৌকায় আস্থা রাখবে। তিনি বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ার আহবান জানান।
তফশিলকে স্বাগত জানিয়ে বিশাল এ আনন্দ র্যালির নেতৃত্ব দেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি।
বগুড়া জেলাআওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি বলেন, বিএনপি জোট নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই ভোটের মাঠ থেকে পালিয়ে যেতে কৌশল করছে। একারনে তারা আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে মেতে উঠেছে। আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ এদের অপতৎপরতার জবাব দিবে। তিনি বলেন, দেশে ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। গনতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাই দেশে উন্নয়ন অব্যহত রাখতে আবারো নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
আনন্দ র্যালি শেষে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, সাগর কুমার রায়, অধ্যক্ষ শাহাদুল আলম ঝুনু, সুলতান মাহমুদ খান রনি, সেরিন আনোয়ার জর্জিস, নাসরিন রহমান সীমা, আনিসুজ্জামান মিন্টু, মাশরাফি হিরো, রুহুল মোমিন তারিক, খালেকুজ্জামান রাজা, আবু সেলিম, এম এ বাসেত, আবু সুফিয়ান শফিক, ওবায়দুল হাসান ববি, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম দুলু, তহিদুল করিম কল্লোল, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, আলমগীর হোসেন স্বপন, কামরুল হুদা উজ্জ্বল, হেফাজত আর মিরা, আব্দুস সালাম, শামসুদ্দিন শেখ হেলাল, কামরুল মোরশেদ আপেল, আলমগীর বাদশা, শুভাশিস পোদ্দার লিটন, সাজেদুর রহমান শাহিন,আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মনজুরুল হক মঞ্জু, জুলফিকার রহমান শান্ত,সাবরিনা সরকার পিংকি, রাশেদুজ্জামান রাজন, সজীব সাহা ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়।
জেলা দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েল এর পরিচালনায় বিশাল আনন্দ র্যালিতে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এনসিএন/বিআর