বগুড়া, ১১ মার্চ ২০২২ : বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকায় বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় লতা খাতুন (৪১) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে জবাই করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরণশাহী মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।লতা খাতুন ধুনট পৌর এলাকার পূর্বভরণশাহী মহল্লার আনোয়ারুল হক দোলার মেয়ে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ধুনট শহর এলাকা থেকে সজিব হোসেন (২০) নামে এক বখাটেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সজিব হোসেন একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লতা খাতুনের প্রায় ৩০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল প্রতিবেশী আবুল কালামের সঙ্গে। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ১০ বছর আগে কালামের সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর থেকে হতদরিদ্র বাবার বাড়িতে টিনের তৈরি ভাঙা ঘরে বসবাস করে লতা খাতুন।
বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের ঘরে একাই ঘুমিয়ে পড়ে লতা খাতুন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কে বা কারা বেড়া ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে লতার গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তিকালে তার হাত কেটে যায়। লতার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই দুর্বৃত্তরা ঘরের ভেতর থেকে পালিয়ে যায়।
এ অবস্থায় স্বজনরা লতা খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কিন্ত সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে কে বা কারা অসৎ উদ্দেশ্যে মেয়েটির ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
