জুলাই ১৩, ২০২৫ ৯:০২ পিএম

নওগাঁয় মন্দিরের জায়গা দখলের চেষ্টা ও মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নওগাঁ শহরের খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর সন্ন্যাস মন্দিরের জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে ওই মন্দির কমিটির সভাপতিকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। দখল ও মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের মানুষজন। 

মঙ্গলবার ১৭জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের খাগড়া মধ্য দুর্গাপুর বাজার এলাকায় মন্দিরের সামনে মন্দির কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মন্দির কমিটির সভাপতি অতুল চন্দ্র সরকার, সাধারন সম্পাদক সুজন কুমার তালুকদারসহ উজ্জ্বল কুমার সাহা, নিয়তি রানী মন্ডল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওগাঁ কাঁচা বাজারের কথিত সভাপতি মকসেদ আলী গত ১৫ তারিখ বুধবার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে খাগড়া সন্ন্যাস মন্দিরে আসে। পরে মন্দিরের জায়গা তার নিজের সম্পত্তি বলে দখল করার চেষ্টা করে। এসময় মন্দির কমিটির সদস্য ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে গত ১৬ তারিখ সোমবার মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী অতুলচন্দ্র সরকার নওগাঁ পৌর কাঁচাবাজারে গেলে মকসেদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা করে এবং মারধর করে। এসময় তার কাছে থাকা ব্যবসার দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। মন্দিরের জায়গা দখলের চেষ্টা ও মন্দির কমিটির সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় প্রশাসনের কাছে মকসেদের বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

এদিকে একজন জানান, ঘটনার দিন নিরেন সাহার সাথে মকসেদ ওই মন্দিরের কাছে গিয়েছিল। সেখানে জমি মাপামাপির এক পর্যায়ে মকসেদ চড়াও হয়ে মারপিট করে। তবে মন্দির ও নিরেন সাহার জমি মাপামাপিকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা।

জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন কাঁচা বাজারের সভাপতি মকসেদ আলী। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার জমি দখলের কোন প্রশ্নই আসেনা। কারণ ওখানে আমার কোন জমি নেই। আমি নিরেন সাহা নামে একজনকে মন্দির সংলগ্ন ৬ শতক জমি কিনে দিয়ছিলাম। ওই শতকের মধ্যে ইতিপূর্বে আমি তিন শতক জমি মন্দিরের নামে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এখন বাকি তিন শতক জমি এই অতুল দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। আর টাকা নেওয়া তো পরের কথা? অতুলকে মারপিটই করা হয়নি। সে একজন মিথ্যাবাদী। গৌরাঙ্গ নামের একজন মারপিট করার কারণে তাদের নামে গত বৃহস্পতিবার অভিযোগ দেওয়া আছে থানায়।

জানতে চাইলে নওগাঁ সদর উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি মাধব কর্মকার বলেন, মন্দিরের জায়গা দখল ও মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে তার জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে যারা এধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল ও হামলার ঘটনা ঘটাতে সাহস না করে।

জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী মুঠোফোনে বলেন, কারো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এসেছে কিনা আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। তারপরও মন্দিরের বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print