নওগাঁর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের চাউলের দাম। প্রকারভেদে খুচরা বাজারে সকল জাতের চাউলের দাম কেজি প্রতি ৩-১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে পৌর খুচরা ও পাইকারি চাউল বাজার ঘুরে দেখা যায় চিকন জাতের কাটারি চাউল ৭৮-৮০ টাকা কেজি, জিরাশাইল চাউল ৬৬-৭০ টাকা, মোটা জাতের স্বর্না- ৫ চাউল ৫৬-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীদের অযুহাত- মিল মালিকরা তাদের কাছে থেকে বস্তা প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেশি দাম রাখায় খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চাউলের দাম বেড়েছে । কাটারি চিকন জাতের চাউল গত সপ্তাহে তারা ৩৪০০-৩৫০০ টাকা বস্তা কিনলেও এ সপ্তাহে তা বেড়ে ৩৯০০-৪০০০ টাকায় তাদের কিনতে হচ্ছে । ফলে খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে । এছাড়াও প্রকারভেদে সকল ধরনের চাউলের দাম কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, আমি গত সপ্তাহে ৩৬০০ টাকা বস্তা কিনেছি। সেট এখন কিনতে হচ্ছে ৩৭০০ টাকায়। তবে সব গুলো চালের দাম বাড়তি। তিনি আরও বলেন, বড় বড় অটো মিল মালিকদের কাছে কিনতে গেলে ৩৯০০-৪০০০ টাকা বস্তা নিবে। এমনকি ৪১০০ টাকাও নিতে পারে।
ভোক্তারা জানিয়েছেন- সপ্তাহে সপ্তাহে নানান অযুহাতে চাউলের দাম বেড়েই চলেছে। শুধু চাউল নয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পন্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বাজারে । মোটা জাতের চাউলের দাম বেশি। চিকন জাতের চাউলের দাম আরও বেড়েছে । ফলে তাদের দিনযাপনে নানান সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন। সরকারি মনিটরিং জোরদার এবং ন্যায্যমুল্যে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে স্বল্পমুল্যে চাউল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানান ক্রেতারা।
কামরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, সপ্তাহে সপ্তাহে বাজারে গেলেই শুনতে হচ্ছে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জানিনা কতো দাম বাড়লে খুশি হবে ব্যবসায়ীরা।
আরেক ক্রেতা সুমন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। দিন দিন চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে।
বাজারে অন্যান্য জিনিসের যে দাম তাতে এখন মোটা চাল কিনে খাওয়াই কঠিন হয়ে গেছে।
মিলমালিকদের অযুহাত- আমন ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে বেড়েছে ধানের দাম। এর প্রভাব পড়েছে চাউলের বাজারে। তবে বাজার মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার মুঠোফোনে বলেন, কাটারি সিদ্ধ ৩৬০০ টাকা বিক্রি করছি। আর কাটারি নাজির স্লো আইটেম হওয়ার কারণে ৩৯০০-৪০০০ টাকা বস্তা হতে পারে। দাম নাগালের বাহিরে আপনার করণীয় কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে চালের আমদানি কম। সরকার যদি চাল আমদানি করে, তাহলে এমনিতেই দাম কমে যাবে।
এদিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তাদের দৈনিক চাল কিনে খেতে হওয়ায় দামের সাথে মিল না থাকায় এক পন্য নিতে অন্য পন্য ক্রয়ের জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে।
