আদালত থেকে মুক্তির পর জেল গেট থেকে একই আ সা মি কে বারবার গ্রে ফ তা র করার ঘটনায় ফেনীর জে ল সুপারকে তলব করেছেন ফেনীর আদালত। সোমবার (২৮ জুলাই) বিকালে ফেনী সদর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাবেদ এ আদেশ দেন।
জে ল গেট থেকে বারবার গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম সুফিয়ান।
জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল সুফিয়ানকে গ্রে ফ তা র করা হয়। পরে ২৪ জুন তিনি দায়রা আদালত থেকে জামিন পান। জামিনের পরদিন কা রা গা র থেকে বের হওয়ার সময় মূল ফটক গেট থেকে তাকে আরেকটি মা ম লা য় গ্রে ফ তা র করা হয়। ওই মা ম লা য় ২ জুলাই জামিন পান তিনি। ৩ জুলাই তিনি কা রা গা র থেকে বের হওয়ার সময় জে ল গেট থেকে আবারও তাকে গ্রে ফ তার হয়। এরপর ২৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে তাকে আ ট ক করে নতুন আরেকটি মা ম লায় গ্রে ফ তার দেখানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর অভিযোগ, আসামির জামিননামা জেলা কারাগারে পৌঁছানোর পর জেল সুপার আসামির বি রু দ্ধে অন্য কোনো মা ম লা না থাকা সত্ত্বেও তাৎক্ষণিক মুক্তি না দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেলে কতিথিত এক দা লা লের মাধ্যমে চেষ্টা করে। এতেও কাজ না হলে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ডিএসবি পুলিশকে ফোন করে জে ল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতারের ব্যবস্থা করেন।
একই ব্যক্তিকে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর বারবার জেল গেট থেকে নতুন মা ম লায় গ্রেফতারের ঘটনাকে উদ্বেগজনক, বেআইনি, অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও পেশাগত অসদাচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে আদালত।
আদালতের ফরওয়ার্ডিংয়ে বলা হয়, উদ্বেগের সঙ্গে আদালত লক্ষ্য করছে যে আ সা মিসহ সম্প্রতি বহু ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই জেলখানার প্রধান গেট থেকে আ ট ক হচ্ছেন। যার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে জেল সুপারের ওপর বর্তায়। এ প্রেক্ষিতে কেন বেআইনি কাজের দায়ভার জেল সুপারের ওপর বর্তাবে না এবং কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না—এই মর্মে আগামী ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ফেনী কোর্ট পুলিশের ওসি মো. আবুল কালাম নিউজনেক্সটকে বলেন, ‘জেল গেট থেকে একই ব্যক্তিকে বারবার গ্রেফতারের ঘটনায় আদালতের তলবের কথা মৌখিকভাবে শুনেছি, তবে এখনো আদেশের কপি দেখিনি।’
ফেনী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আবদুল জলিল বলেন, ‘আদালতের আদেশের কথা শুনেছি। আদালত যেকোনো সময় আমাদের তলব করতে পারেন। আমি কোনো আসামিকে জেল গেট থেকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করিনি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত নই বলে জেল সুপার দাবি করেন।