আদালতের মত কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় ঘটেছে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে পালিয়ে যায় জোড়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। ঘটনার পর থেকে আদালতপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সৃষ্টি হয় তীব্র অস্বস্তি।
পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রফিকুল ইসলাম (৪০)। তার বাড়ি বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার নছির আকন্দের ছেলে।
সোমবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আসামি রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজিরা দিতে জেলা কারাগার থেকে আনা হয়েছিল। তবে হাজতখানা থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময়, আদালতের গেটের সামনে কৌশলে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায় সে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের মতে, আদালতের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এমন ঘটনার পেছনে রয়েছে দায়িত্বে অবহেলা ও নিরাপত্তার বড় ফাঁকফোকর। পুলিশি দায়িত্ববোধ ও নজরদারির ঘাটতি নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন।
ঘটনার পরপরই আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং শুরু হয় চিরুনি অভিযান। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগরের লক্ষীমন্ডপ এলাকায় গত ৯ জুলাই শ্বশুর ও পূত্রবধুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ও ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। পলাতক আসামিকে ধরতে এরই মধ্যে একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও আসতে পারে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি আদালতপাড়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভীতির সঞ্চার এবং ক্ষোভ। প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে আদালত এলাকায় লক্ষ্য করা যায় ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ভ্রাম্যমান দোকানপাট।