বগুড়ার শেরপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ইমামকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে শেরুয়া বটতলা এলাকা থেকে ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, শেরুয়া দহপাড়া করতোয়া জামে মসজিদের ইমাম নুর মোহাম্মদ (৫৫) কে গত ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মসজিদের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে শেরুয়া বটতলায় নির্মাণাধীন একটি হোটেলের ভেতরে আটক করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাঁর পিঠ ও ডান পা ভেঙে ফেলা হয়। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় ইমামের ছেলে জাকারিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলো শাহ আলম (৩৬), শাহাদৎ হোসেন (২৫), জাহিদুল ইসলাম (৪২), রাসেল (৪০), উজ্জল হোসেন (২৫) ও জনি (২২)। পরে আসামিদের গ্রেফতারের দাবীতে গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এলাকার তিনটি মসজিদের মুসুল্লি ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
উল্লেখ্য সরকার পরিবর্তনের পর পুলিশের কাজে বাঁধা, নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া ও দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।