বগুড়ায় ঈদের ছুটির চতুর্থ দিনেও সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর কালিতলা তীর সংরক্ষণ গ্রোয়েন, প্রেম যমুনার ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। বন্ধু, পরিজন নিয়ে কেউ নদীর কিনারে হাঁটছে, কেউ নৌকায় ঘুরছে যমুনা নদীতে।
এসব এলাকায় পসরা সাজিয়ে দোকানিদের বসতে দেখা গেছে। সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে যমুনার পার ফিরেছে যেন সেই পুরনো রূপে।
তাছাড়া শহরের বাইরে মহাস্থানগড় ছাড়া আর কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় এই জায়গাটিতে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বলে বিনোদনপ্রেমীদের ভাষ্য। তাই শহরের অদুরে ঘুরতে আসা এটিই একমাত্র জায়গা।
সরেজমিনে ঘুরতে গিয়ে ওখানে দেখা হয় পরিবার নিয়ে ঘুরতে অনেকেই। কেউ ঘুরছেন নদীর তীর ঘেঁষে। আবার কেউ বা ঘুরতে পরিবার নিয়ে নৌকা চরে মাঝ নদীতে।
স্ব-পরিবারে ঘুরতে আসা পরিবহন ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের বাইরে বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা নেই। শহরের মানুষ শহরের ভেতরের বিনেদন কেন্দ্রে প্রায়ই যাওয়া আসা হয়ে থাকে কিন্তু শহর থেকে একটু দুরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যমুনার তীরে হাঁটাহাঁটির পর নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরলাম।’
নদীতে ঘুরতে যাওয়াদের নদী ঘুরিয়ে দেখান ঘাটে নৌকা ব্যবসায়ী আজিজ মন্ডল। তিনি বলেন, ‘গত বছর মানুষের সমাগম কম ছিল। এ বছর মানুষের ভাল সমাগম হওয়ায় প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা লাভ আয় করছেন।’
সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘ঈদে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সকল ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন বিকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। পর্যটকরা যেন নির্বিগ্নে ঘোরাঘুরি করতে পারে সেই লক্ষে ঘাটে পুলিশ সর্বোক্ষণ রয়েছে।’
এনসিএন/বিআর