বগুড়ার ফুলবাড়ি নদীপাড়ে নৃশংসভাবে খুন হওয়া অটোরিকশা চালক শাকিল মিয়ার পরিবারকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে জেলা পুলিশ। দরিদ্র শাকিলের মৃত্যুর পর দিশেহারা ছিল গোটা পরিবার। অকেজো অবস্থায় ছিল ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা। উপার্জনের একমাত্র বাহন সচল করে দিয়েছেন বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা।
বৃহস্পতিবার বগুড়া সদর থানায় নিহত শাকিল মিয়ার স্ত্রী মালেকা খাতুনসহ পরিবারের সদস্যদের ডেকে অটোরিকশার তিনটি ব্যাটারি ও চার্জারে ব্যবহৃত উপকরণ হস্তান্তর করেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান বাসির।
পুলিশ জানিয়েছে, একদল সন্ত্রাসী গত ১৪ জুন বাড়ি থেকে শাকিলকে তুলে নিয়ে যায়। সদর উপজেলার ফুলবাড়ি মৃধাপাড়া এলাকার করতোয়া নদীর পাড়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মারপিটে নৃশংসভাবে খুন হন দরিদ্র শাকিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. হাসান বাসির জানান, নিহত শাকিল অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার মৃত্যুর পর গোটা পরিবার দিশেহারা এবং অটোরিকশা অকেজো অবস্থায় ছিল। বিষয়টি জানার পর সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন পুলিশ সুপার।