বিএনপির বিগত দিনের আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়েছে যুবদল। যুবলীগের সন্ত্রাসী হামলায় চোখ হারিয়েও যুবদল ছাড়েননি আব্দুর রউফ রুবেল। তিনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। দেড় ডজন গায়েবী মামলায় দফায় দফায় কারাবন্দি ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে থাকতেন ঘরছাড়া।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পথের কাটায় পরিনত হওয়ায় মামলা, হামলা ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে অসংখ্য নেতাকর্মী ফেরারি জীবন কাটিয়েছেন।
দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির বিগত দিনের আন্দোলন কর্মসূচিতে তৃণমূলে সরব নেতৃত্ব দিয়েছেন যুবদলের আব্দুর রউফ রুবেল। নন্দীগ্রাম উপজেলায় অবরোধ, বিক্ষোভসহ ফ্যাসিস্ট বিরোধী কর্মকান্ডে তৎপর ছিলেন। একারণে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর চারটি থেকে দায়মুক্ত হয়েছেন।
দীর্ঘ সময় নির্যাতিত যুবদল নেতা আব্দুর রউফ রুবেল জানান, ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশে পুলিশ ও যুবলীগ হামলা চালিয়ে তাকে অমানবিক নির্যাতন করে। এতে তার ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মৃত ভেবে তাকে ড্রেনের মধ্যে ফেলে গেলে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে ফেরার পথে বাস কাউন্টার থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় যুবলীগ। টর্চার সেলে আটকে রেখে নির্যাতন করে। পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। নন্দীগ্রাম শহরে তার বাড়িতে দু’দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। বাসস্ট্যান্ডে তার মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেয়। তাকে তুলে নিয়ে থানার মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশ।
রুবেল বর্তমানে নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। এছাড়া দীর্ঘ বছর নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ শাসনামলে তিনি ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। থাকতেন ঘরছাড়া, পরিবারহীন ঈদ কাটিয়েছেন।