বগুড়ায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত সদস্যরা হলেন হাজতখানার ইনচার্জ সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) গোলাম কিবরিয়া, আতাহার আলী, আব্দুর রাজ্জাক, কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন, দুলাল মিয়া ও জাকির হাসান।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন।
মোসাদ্দেক হোসেন জানান, “পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত ছয় পুলিশ সদস্যকে আদালত থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
এদিকে ঘটনার পরপরই আদালতের উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে পলাতক আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। বগুড়া জেলা জজ আদালতের হাজতখানায় আসামি গণনা করে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দায়িত্বরত ছয় পুলিশ সদস্য। ঠিক সে সময় ভিড়ের সুযোগ নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় জোড়া খুন ও ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম।
ঘটনাটি নিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
