বগুড়া কর কমিশনার কার্যালয়ের এমএলএসএস বিশ্বজিৎ রায়ের (৪০) বিরুদ্ধে অভিযোগে মামলায় জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে চাকরি নিয়ে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে সরকারের ২৬ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে বগুড়া জেলা কার্যালয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামী বিশ্বজিৎ রায় যশোরের অভয়নগর থানার আড়পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা এবং তিনি মৃত গোকুল চন্দ্র রায়ের ছেলে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আসামি বিশ্বজিৎ রায় বগুড়া কর অঞ্চলের কর কমিশনারের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি গ্রহণের সময় তার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ শহরের ১২নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি মহল্লা, হোল্ডিং নং-২৫০ দেখিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কর অঞ্চল বগুড়া অফিসে গত ২০১৩ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে বিষয়টি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কালিবাড়ি ভুতের দিয়ার হোল্ডিং নং-২৫০ নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত বিভাগের নামে রেকর্ড ভুক্ত হয়েছে। বিষটি যাচাই করে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা এবং সিরাজগঞ্জ সদর রেজিস্ট্রি অফিস থেকে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এতে তার প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা যশোরের জেলার অভয়নগর থানার আড়পাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা এবং তিনি মৃত গোকুল চন্দ্র রায়ের ছেলে।
আসামি বিশ্বজিৎ রায় প্রতারণা, জালিয়াতির কর অঞ্চল বগুড়ায় এমএলএসএস পদে চাকরি গ্রহণ করে বহাল থেকে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতাদি বাবদ সরকারি ২৬ লাখ ২৯ হাজার ২৩৫ টাকা আত্মসাৎ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন।
তবে এবিষয়টি কর অঞ্চল বগুড়া কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।