ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে আদালতের নির্দেশ, জেলহাজতে পাঠানো হলো মামনুর রশিদকে

বগুড়ায় নারী আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে কৃষি কর্মকর্তা কারাগারে

বগুড়ায় শিক্ষানবিশ এক নারী আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাবনার চাটমোহর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদকে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল বগুড়ার কাহালু উপজেলায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নারী আইনজীবীকে ধর্ষণ করেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারী ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট আদালতের আশ্রয় নেন। মামলা দায়েরের পর আদালত তা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্ত চলাকালীন সময়ে অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি দেশজুড়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা জনমনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। পরে মামুনুর রশিদ উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান।

দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত শেষে অবশেষে পুলিশ বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। শুনানিকালে বিচারক আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান বলেন, “এটি শুধুমাত্র একজন নারীর ন্যায়বিচারের লড়াই নয়, এটি সমাজের প্রতিটি নারীর অধিকার রক্ষার লড়াই। আজ আদালতের পদক্ষেপ আমাদের আশাবাদী করেছে।”

এই রায়ের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, আইনের চোখে কেউই ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। এক বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর আদালতের এই নির্দেশনা নারী অধিকার ও ন্যায়বিচারের পথে একটি সাহসী পদক্ষেপ। এমন প্রতিবেদন শুধু একটি মামলা নয়, সমাজের প্রতিটি নারীর প্রতি সম্মান প্রতিষ্ঠার ডাক।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print