বগুড়া মাটিডালি বিমান মোড়ে মাদক টাপেন্টাডল সরবরাহ হচ্ছে এমন সন্দেহে তিনজন মাদক কারবারিসহ একটি মোটরসাইকেল আটক করে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি। আটকের পর টাকার বিনিময়ে মাদক কারবারিদের একজনকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহষ্পতির রাতে মাটিডালি বিমান মোড় এলাকায়।
আটককৃতরা হলেন, বগুড়া সদরের বারপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার মো: জালালের পুত্র সোহাগ ও গাবতলি হামিদপুর এলাকার রনি, পালশা এলাকার নুর-আলম।
এ বিষয়ে আটককৃত রনি বলেন, সোহাগ আমাকে নূর-আলমের সাথে ফনির মোড়ে যেতে বলে। সেখান থেকে দুইজন যুবক আমাকে একটি ব্যাগ দেয়। সেই ব্যাগ নিয়ে আমি এবং নূর আলম মোটরসাইকেলে করে মাটিডালি মোড়ে আসলে পুলিশ তল্লাশি করে টাপেন্টাডল পায়। এরপর সেখানে সোহাগকে মুঠোফোনে ডাকার পর সোহাগ উপস্থিত হলে আমাদের তিনজনকে ফুলবাড়ি ফাঁড়িতে আনা হয়। আনার পর আমি এবং নূর আলমকে এক রুমে এবং সোহাগকে আলাদা রুমে বসানো হয়। অত:পর তার সাথে কথা বলে সোহাগকে ছেড়ে দেয়।
এরপর সোহাগ ফাঁড়ি থেকে বেড়িয়ে মুঠোফোনে আটককৃত রনির বোনের সাথে কথা বলে এবং পুলিশকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড় পেয়েছে বলে বিষয়টি স্বীকার করে সে। পরবর্তীতে টাকা নিয়ে ফাঁড়িতে গিয়ে রনিকে ছাড় করানোর কথা বলে রনি।
ফুলবাড়ি ফাঁড়ির এস আই আমিনুল ইসলাম সূত্রে জানা যায় তাদের কাছ থেকে ৫৫০ পিছ টাপেন্টাডল পাওয়া গেছে। অথচ সদ্য মুক্তি পাওয়া সোহাগ জানায় তাদের কাছে ৬০০ পিছ টাপেন্টাডল ছিলো।
ফুলবাড়িয়া ফাঁড়ির এস আই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি সোহাগকে চিনি না তার চেহারা কেমন তাও আমার জানা নেই। যে পরিমাণ মাদকদ্রব্য পেয়েছি তা টাকা পয়সা দিয়ে আপস করার কোন সুযোগ নেই।
এদিকে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, মাদকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে তা আমি জানি। তবে টাকা নিয়ে ছাড় দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন পুলিশ সদস্য যদি এমন কিছু করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মাদক কারবারি সোহাগ গত এক বছর আগেও জেলা গোয়েন্দা শাখার হাতে ৫ হাজার পিছ টাপেন্টাডলসহ আটক হয়।