বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির ১ শতাংশ স্বাক্ষরিত সমর্থক ও তার স্বামী-সন্তানের সন্ধান মিলেছে।
রবিবার দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সুতানারা গ্রামে নিজ বাড়িতে তারা আসেন। তাদের কেউ অপহরণের শিকার হন নি বরং তারা ডাক্তার দেখানোর জন্য আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন সমর্থক নাজমা খাতুন।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্ব ইচ্ছায় ডাক্তার দেখানোর জন্য শেরপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানেই রাত্রি যাপন করি। পরে ডাক্তার দেখানো শেষ হওয়ায় এখন তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছি।’
এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির সমর্থক নাজমা খাতুন, তার স্বামী ও সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী কামাল্পুর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, নাজমা খাতুন ও তার স্বামী বেলাল এবং তাদের ৩ বছরের শিশু সন্তানকে কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান হেলাল, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দিন এবং কামালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন তাদের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপিও অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থক ও তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করেছে।’
অভিযুক্ত কামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি যে মিথ্যা বানোয়াট তা ভিকটিম আমাদের জানিয়েছে। এ বিষয়ে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে শাহাজাদী আলম লিপি বলেন, ‘তারা কোন আত্মীয়ের বাড়িতে যান নি। তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছিল। তারা কোন চাপে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। তবে আমি তাদের সাথে দেখা করে কথা বলবো।, এরপর বিস্তারিত জানানো হবে।’
সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘অপহরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা স্বেচ্ছায় ডাক্তার দেখানোর জন্য তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল বলে আমাদের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ‘