ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বগুড়ায় ওএমএস এর খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু

বগুড়ায় ওএমএস এর খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু।
বগুড়ায় ওএমএস এর খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু। ছবিঃ এনসিএন

“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুদা হবে নিরুদ্দেশ” এমন স্লোগানে বগুড়ায় খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি শুরু করেছ ওএমএস। জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার সাবগ্রাম ও সাড়ে ৯ টায় মানিকচক বাজার এলাকায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

জেলা প্রশাসক জানান, সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও ৩০ টাকা কেজিতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। মানুষ এই চাল নিতে বেশ আগ্রহী। এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষেরা সুবিধা ভোগীরা সকাল থেকে লাইনে ৩০ টাকা কেজি মূল্যের চাল নেওয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়ে যান। এই জন্য সুবিধা ভোগীরা সরকার প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মাদ আশ্রাফুজ্জামান বলেন, এই চাল গুলো নিটিং করা উন্নত মানের। শুক্র ও শনিবার বাদে সপ্তাহে পাঁচ দিন এ কর্মসূচি বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। তিন মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে সাধারণ ক্রেতার পাশাপাশি যারা টিসিবির কার্ডধারী তারাও এ চাল কিনতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ হাজার ৮০০ ক্রেতা সুবিধা পাবেন বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ  উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মজিদ ও আবুল হোসেন খান, সদর উপজেলা এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন।

৩০ টাকা কেজি চাল কিনতে আসা মার্জিয়া বেগম জানান, বাজারে ৭০-৭৫ টাকা কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মত মধ্যবিত্তদের জন্য যা খুবই কষ্টদায়ক। প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ তিনি আমাদের জন্য ৩০ টাকা কেজিতে চাল কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখানে থেকে ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে আমরা অনেক খুশি।

সদরের মানিকচক এলাকার এই চাল কিনতে আসা আবু বক্কর বলেন, ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনলাম। আগে এই টাকায় অর্ধেক চাল পেতাম। কম দাম চাল কিনতে পেরে অনেক খুশী। 

এদিকে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বগুড়া জেলা জুড়ে ৫২টি কেন্দ্রে ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস এর চাল বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে বগুড়া শহরে ১৩টি কেন্দ্র, ক শ্রেণির পৌরসভা দুপচাঁচিয়া, সান্তাহার, শেরপুর ও নন্দীগ্রামে ৪টি করে ১৬টি কেন্দ্র এবং বাকি পৌরসভায় তিনটি করে কেন্দ্র এবং শাজাহানপুর উপজেলায় দুইটি কেন্দ্রে  চাল বিক্রি করবেন ডিলাররা। প্রতিদিন ডিলাররা তাদের কেন্দ্র দুই টন করে চাল বিক্রি করবেন। এর মাধ্যমে ক্রেতারা সর্বোচ্চ পাঁচ করে চাল কিনতে পারবেন।  প্রতি কেজি চালের দাম ঠিক করা হয়েছে ৩০ টাকা। এর মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ হাজার ৮০০ ক্রেতা সুবিধা পাবেন বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এনসিএন/বিআর

 

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print