ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

‘পুলিশের কেউ চাঁদাবাজি করলেই ব্যবস্থা’

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বগুড়ায় নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বগুড়া শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জেলা পুলিশের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন।

মহাসড়কে চাঁদাবাজি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে আব্দুল বাতেন বলেছেন, আমরা মহাসড়কে আর কোনো ধরনের চাঁদাবাজি দেখতে চাই না। আপনাদের সরকার রেশন দেয়, বেতন দেয় এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দিচ্ছে। তাহলে কিছু টাকার জন্য কেন পুলিশের দুর্নাম করছেন। এই কাজের সাথে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যত ঘনিষ্ঠই হোন না কেন, তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, পুলিশ যদি টাকা না নেয়, তাহলে অন্য কেউ সাহস পাবে না। এই চাঁদাবাজি বন্ধে আপনাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। শহরের মধ্যে যানজট মুক্ত করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে হাইওয়ে পুলিশকে তিনি আরও বলেন, ফুটপাত দখল মুক্ত করতে হবে। ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলো উঠিয়ে দিন। শহরে মানুষ যাতে করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলাচল করতে পারে।

চাঁদাবাজি নির্মূল করার প্রত্যয়ে বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমরা কথা দিচ্ছি, আমাদের বগুড়ায় কোনো ধরনের চাঁদাবাজি হতে দিব না। শুধু তাই নয়, পরিবহন সেক্টরে কোনো যে-কোন যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধেও কাজ করব।’ তিনি শ্রমিকদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের কোনো মহাসড়কে কেউ চাঁদা দাবি করলে আপনারা টাকা দিবেন না।

এদিনের মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী, বগুড়া রিজিওনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দিন। মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ আহমেদ, বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আখতারুজ্জামান ডিউ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আন্তঃজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মান্নান মন্ডলসহ অনেকেই।

এনসিএন/এআইএ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print