কাঙ্খিত বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বগুড়ার মাঠে মাঠে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে আমন চাষ। কোন কৃষক জমি চাষে আবার কোন কেউ বা আমন চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে।
আমন চাষে গত বোরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানালেন শাজাহানপুরের কৃষক সামাদ। তিনি জানালেন, যদি প্রকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে তারা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বেধে দেয়া আমনের লক্ষ্যমাত্র পার হয়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় এবার ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জামিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। সব ঠিক ঠাক থাকলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে। বিভিন্ন সরু উচ্চ ফলশীল ধান জাতের ব্রি-ধান ৮৭, ব্রি-ধান ৭৫. বিনা ধান-১৭সহ অনেক জাতের ধান রোপন করা হচ্ছে। এই জাতে গুলোতে বিঘা প্রতি গড় উৎপাদন ১৫ থেকে ১৬ মন। এই জাতের ধান আগাম চাষ হয়ে থাকে।
কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টনের অধিক(চাল আকারে)। এ পর্যন্ত জেলায় কৃষক ৪০ শতাংশ জমিতে আমন রোপন করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আরো জানান, গত বছর জেলায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। গত বছর ৫ লাখ ৫১ হাজার (চাল আকারে) মেট্রিক টন আমন উৎপাদন হয়ে ছিল।
