বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো অন্তত চারজন যাত্রী। তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে বারোটার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে সিএনজি চালকের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আব্দুল বাছেদ (৩৫)। তিনি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের শাহার উদ্দিনের ছেলে। নিহত অপরজনের পরিচয় জানতে পাওে নি পুলিশ । বাস ও সিএনজি শেরপুর হাইওেয়ে ক্যাম্পে আটক আছে।
জানা যায় রংপুর থেকে ঢাকা গামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৮৭৫৩)মহাসড়কের হামছায়াপুর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটো রিক্সার মধো মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে সিএনজির চালকসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথেই অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) সিএনজির এক যাত্রী মারা যান। আর অন্যান্য আহতদের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানানতর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিএনজি চালক আব্দুল বাছেদ মারা যান।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও তার সরকারি পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। নিহত অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিহতদের লাশ বগুড়ায় হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে লাশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ জানায় এ ব্যাপারে মামলার হয়েছে।
