বগুড়া: ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে সারাদেশে শুরু হয়েছে ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। সপ্তাহব্যাপী এ শুমারি চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। এটি দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি।
‘জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’ প্রতিপাদ্যে বগুড়া জেলায় শুরু হয়েছে প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি কার্যক্রম। বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণনা শুরু করেছেন গণনাকারীরা।
এদিন বিষয়টি নর্থ ক্যাপিটাল নিউজকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক রেজওয়ানা কবীর।
তিনি বলেন, বগুড়া জেলায় ১ হাজার ৭৩৪ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে মাঠ পর্যায়ে ৯ হাজার ৬১৭ গণনাকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের প্রত্যেকের কাছেই ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাব দেওয়া হয়েছে। যেন নির্ভূলভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তবে এই ট্যাবে শুমারির কাজ ব্যতীত অন্য কোন কাজ করা সম্ভব নয়।
জনশুমারির সময়ে যদি কেউ বাদ পড়ে যান এমন প্রশ্নের জবাবে রেজওয়ানা কবীর বলেন, ‘এ ধরনের আশঙ্কা খুবই কম। তারপরও যদি কেউ বাদ পড়ে যান তাহলে আমাদের হটলাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে তথ্য দিতে পারবেন। পাশাপাশি জেলা কিংবা উপজেলায় বিবিএসের কার্যালয়ে গিয়ে শুমারির পরও তথ্য দেওয়া যাবে।’
তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ের গণনাকারীরা প্রতিটি খানায় (পরিবার) মোট ৩৫ ধরনের তথ্যসহ আরও ১০টি সহায়ক তথ্য নিবেন গণনাকারীরা। এর মধ্যে রয়েছে খানার সদস্য কত, বয়স, সদস্যের বৈবাহিক অবস্থা, পেশা, ধর্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি। নিরাপত্তা ও সহজে তথ্য বিনিময়ের স্বার্থে দিনের বেলায় নিয়োজিত কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে থাকবেন নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।
এনসিএন/এআইএ
