বৈশাখ মাসে বগুড়ায় কাল বৈশাখী ঝড় না হলেও জৈষ্ঠ মাস শুরুর কয়েকদিনের মাথায় ঝড় ও মুশলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে ১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ায় শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমা হলে পানিবন্দী হয়ে পড়েন অনেক মানুষ। কোথাও বিভিন্ন মার্কেটে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দোকানিরা।
এমন ভারী বর্ষণে স্থবির হয়ে পড়েছে শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। রাস্তায় দেখা দিয়েছে রিক্সার অভাব। আর রিক্সা থাকলেও ভাড়া হাকাচ্ছে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। হঠাত এমন বৃষ্টিতে যেন অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় বজ্রপাতে ভেঙে গেছে গাছের ডাল। কোথাও আবার ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চালা।
এছাড়াও শহরের অধিকাংশ ঘর–বাড়ি, স্থাপনা নকশা বহির্ভূতভাবে তৈরী হওয়ার কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। নকশা বহির্ভূত বহুতল ভবনগুলো পৌর কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার উপর দিয়ে তর তর করে উর্ধমুখি সম্প্রসারন হলেও কোন পদক্ষেপ নেয় না।
বগুড়ার পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা অজুহাত হিসাবে জনবল সংকটকে সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করছেন।
এমন বহুবিদ সমস্যায় জর্জরিত এখন বগুড়ার সাধারণ জনগণ। যেখানে যেকোন বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়তই পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
