নওগাঁর রাণীনগরে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মারপিটের শিকার হয়েছেন বাদিসহ পাঁচজন। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ থানায় অভিযোগ করার কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের পথরোধ করে পিটিয়ে আহত করেছে। মঙ্গলবার ২৯অক্টোবর রাতে উপজেলার চক পারইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চক পারইল গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫০), সাফিয়া (৪৫), কিরন মালা (৩০), রায়েজিদ (৪৩) ও শাকিব (১৮)। আহতরা সবাই নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, শহিদুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের মকবুল ও রায়হানসহ কয়েকজনের জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে মঙ্গলবার দুপুরে শহিদুলের পরিবারের লোকজনের সাথে মকবুল, রায়হানসহ প্রতিপক্ষদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শহিদুলের পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন তারা। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাণীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে রাস্তায় এবং খলিয়ানে পথরোধ করে বাদী শহিদুল ইসলামসহ সাফিয়া, কিরন মালা, রায়েজিদ ও শাকিবকে প্রতিপক্ষরা ১০-১৫ জন মিলে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধম মারধর করে গুরুত্বর আহত করেন।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিপক্ষরা অতর্কিতভাবে হামলা করে আমাদের ব্যাপক মারপিট করেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছি।
মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে রায়হান বলেন, আমরা কাউকে মারধর করেনি। সেখানে দু’পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তারা যে অভিযোগ করছে তা মিথ্যা। বরং তারাই আমাদের ৫-৬ জনকে মেরেছে।
এদিকে বুধবার ৩০ অক্টোবর বিকেলে ভূক্তভোগীদের একজন মুঠোফোনে জানালেন, তাদের মামলা নিতে গড়িমসি করছে থানা পুলিশ। তবে ওসি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শণে গেলেন বলে জানালেন তিনি।
এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় এসেছিল। মামলার জন্য তাদের এজাহার দিতে বলেছি। মামলার প্রেক্ষিতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।