রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির যে সব ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো প্রার্থীর ১০ জনের ভোটার যাচাই করা হয়। এরমধ্যে তিনজনের তথ্য পাওয়া যায়নি। এ তিনজনের মধ্যে দুজনের তথ্য সঠিক ছিল না। একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোটার। তাই তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তার সাতজন সমর্থকের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, আগে কখনও নির্বাচিত হননি এমন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। তারা প্রার্থীদের দেওয়া এই স্বাক্ষর থেকে ১০ জন করে ভোটারের তথ্য যাচাই করেছেন। এতে চিত্রনায়িকা মাহিসহ চারজন প্রার্থীর সমর্থকদের তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর চিত্রনায়িকা মাহি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এ আসনের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) মো. শামসুজ্জোহা (বিএনএম), মো. আল-সাআদ (বিএনএফ), জামাল খান দুদু (তৃণমূল বিএনপি), নুরুন্নেসা (এনপিপি) ও বশির আহমেদ (মুক্তিজোট) ও মো. শামসুদ্দীনের (জাতীয় পার্টি) মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন। মনোনয়ানপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়া অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। মাহি ছাড়া অন্য যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, তারাও আপিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যাবে ৬ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বৈধ প্রার্থীরা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর।