কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়লেন লিওনেল মেসিরা। ৩৬ বছরের অধরা শিরোপা ঘরে তুললেন আলবিসেলেস্তারা। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের কোটি সমর্থকদের বিজয়োল্লাসে ভাসিয়েছেন অপ্রতিরোধ্য আর্জেন্টাইনরা।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘অমরত্বের’ লড়াইয়ে নেমেছিল ইউরোপের পরাশক্তি ফ্রান্স এবং লাতিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের প্রতিটি মূহুর্ত ছিলো নানন্দিক আর উত্তেজনায় ভরপূর।
দুই দলের তুমুল লড়াইয়ে ১২০ মিনিটের খেলায় ৩-৩ গোলে কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। অবশেষে ফাইনাল ম্যাচটি গড়ায় শুটআউটে। এতে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক ইমিলিয়ানো মার্টিনেজের অসাধারণ নৈপূণে জয় পায় আলবিসেলেস্তারা।
পেনাল্টি শুটআউটে আর্জেন্টিনা ৪টি বল জালে জড়িয়েছে। অন্যদিকে ফ্রান্স ২টি মিস করে বাকি দুইটি বল মার্টিনেজের চোখ এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে ফাইনাল উপলক্ষে বগুড়া জেলা আর্জেন্টিনা সাপোর্টার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ডিজিটাল প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। এদিন মেসির শেষ বিশ্বকাপ দেখতে সাতমাথা এলাকায় কয়েক হাজার ভক্ত হাজির হন।
আর্জেন্টিনার ইতিহাস রচিত হওয়ার কিছু সময় অতিক্রম হতেই বগুড়া সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে সাতমাথায় হাজির হতে থাকেন সমর্থকেরা। এসময় মোটরসাইকেলে শোডাউন, রেসিং কারের গর্জন আবার কেউ কেউ বিশাল আকৃতির পতাকা নিয়ে অংশ নেয়। কয়েক মূহুর্তের মধ্যেই ঐতিহাসিক সাতমাথা আনন্দ নগরী রুপান্তির হয়।
আর্জেন্টিনার ঐতিহাসিক জয়ে মোঃ আল-আমিন বলেন, মেসির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আর্জেন্টিনা ৩৬ বছরের অধরা শিরোপা ঘরে তুলেছে। একই সাথে আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা মিটিয়েছেন। মেসিদের এ জয়ে আমরা অত্যন্ত আবেগাপ্লুত এবং গর্বিত।
লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার জয়ে কান্নায় চোখ ভিজিয়েন অনেকেই। সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে বগুড়া আর্জেন্টিনা সাপোর্টারস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল শেখের নামও। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন আজ সত্যিতে রুপান্তরিত হয়েছে। মেসি তার সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিয়েছে। একই সাথে পুরো দল লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছে। এই জয়ে আমরা আনন্দিত।’
কাতার বিশ্বকাপে ইয়ং প্লেয়ার এওয়ার্ড জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনার ফার্নান্দেজ, গোল্ডেন গ্লাভস ইমিলিয়ানো মার্টিনেজ, গোল্ডেন বল লিওনেল মেসি এবং গোল্ডেন বুট ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এনসিএন/এআইএ