উজান থেকে আসা ঢল ও দেশের অভ্যন্তরে বর্ষনে বগুড়ায় যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল সোনাতলা, সারিযাকান্দি ও ধুনটের বন্যা উপদ্রত অঞ্চলের মানুষ নিজ বসতবাড়ি থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আসতে শুরু করেছে।
সারিয়াকান্দির চরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্য যমুনার পানি বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে এমনটি জানিয়েছেন বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে সারিয়াকান্দির যমুনা চরাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমা ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। যমুনার পানি এখন বিপদ সীমার ১৭ দশমিক ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে জেলার তিনটি উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ৮৩৪ হেক্টার জমির আউস, পাট, ভূট্টা, বীচবজতলা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানান জেল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক।
তিনি বলেন, এর মধ্যে সারিয়াকান্দিতে ৭১০ হেক্টর জমির ফসল, সোনাতলার ৯৬ হেক্টর ও অবশিষ্ট ধুনট উপজেলার ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক। তিনি বলেন, বন্যায় পানিবন্দি মানুষদের জন্য চাল, শুকনা খাবার ও নগদ টাকা মজুদ রয়েছে।
