লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দুপুরের খাবার না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজনরা। এসময় রোগীর স্বজনের সাথে স্থানীয়রা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সময় মত খাবার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষুধার্ত রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশে জানালে পুলিশের একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকাল ৩টায় স্থানীয়দের তোপের মুখে তড়িঘড়ি করে খারার সংগ্রহ করে রোগীদের মাঝে বিতরণ করেন ঠিকাদারের লোকজন।
রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও আড়াইটা পার হয়ে গেলেও খাবার দেওয়া হয়নি,বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করে এতে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এসময় রোগীর স্বজনের সাথে স্থানীয়রা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে ঠিকাদারের লোকজন বিকাল ৩টায় তড়িঘড়ি করে খাবার পরিবেশন করেন। অনেক রোগীর অভিযোগ সকালে তারা খাবার পায় নি।
রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতালে রোগীদের খাবার সময় মতো পরিবেশন করা হয় না। খাবারের মান খুব খারাপ। অনেক রোগী এসব খাবার খেতে না পেরে বাইরে থেকে খাবার কিনে নিয়ে আসেন। আবার অনেক সময় রোগীরা খাবারই পায় না। যতগুলো রোগী ভর্তি থাকেন, তাদের প্রত্যেককে খাবার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক সময় অনেক রোগী খাবার পায় না।এমন অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। হাসতালের নোংরা পরিবেশে বসে খাবার খাওয়া যা না। চারিদিকে শুধু দূর্গন্ধ ছড়িয়ে থাকে। হাতপালের বাথরুমের অবস্থা খুবই খারাপ। সব সময় ময়লা পানি জমে থাকে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের বাবুর্চি ফিরোজ আহমেদ জানান, আজ ঠিকাদার বাজার করে দিতে বিলম্ব করায় রান্নার কাজ করতে দেরি হয়েছে। ফলে রোগীদের খাবার দিতে বিলম্ব হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল কাদের জানান,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানালে পুলিশের একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সামিনা খাতুন বলেন, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ১১০ জন ভর্তি রোগীর মধ্যে ৮৪জন রোগীর দুপুরের খাবার সময় মতো বুঝিয়ে পাই। বাকী রোগীদের খাবার বিকাল ৩টার দিকে ঠিকাদারের লোকজন এসে দিয়ে দিয়ে যায়। কেন রোগীদের খাবার পরিবেশনে বিলম্ব হলো এব্যাপারে তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
