আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজের বসতবাড়ি সংলগ্ন আছে সরকারি ভিপি সম্পত্তি। অগ্রাধীকার ভিত্তিতে আশির দশকে ওই সম্পত্তি লীজ পেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই সম্পত্তির উপর নজর পড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির। অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। করছেন বিভিন্ন হয়রানি ও ঝামেলা। তাই প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছেন নওগাঁ শহরের কাজীর মোড়ের বাসিন্দা মৃত ইয়াকুব আলী কবিরাজের ছেলে আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজ।
সোমবারর (২৬মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় মুক্তির মোড় পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজ বলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার কাজীর মোড় চকএনায়েত মৌজার সাবেক খতিয়ান ৫৭/৮০ নম্বর ভিপি কেস ভূক্ত সম্পত্তির ২০শতাংশ এর কাতে ৫শতাংশ ভূমি ইজারা নেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ৪৬ বছর যাবৎ নিয়মিত সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে তা ভোগদখল করে আসছি। সম্প্রতি শহরের কাজীর মোড় এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো: লালন, করনেশনপাড়ার দহির উদ্দিনের ছেলে মো: লিটন, মৃত সোলেমান আলীর ছেলে মো: বাবু, হাবিব, মো: রুবেল, মো: রাহেন, মো: মানিকসহ কতিপয় সঙ্গবদ্ধ ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী বাহীনি আমার ইজারাকৃত সম্পত্তি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে এবং উক্ত সরকারি সম্পত্তি বিভিন্ন কায়দায় দখলের চেষ্টা করে আসছে। তারা বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তার করছিল। বর্তমানে প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার সাথে জোগসাজস করে পূণরায় সেই চেস্টা সফল করতে চাচ্ছে। বিগত দিনে তাদের হাত থেকে ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি বেদখল এবং সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে নওগাঁ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করি। মামলায় বিজ্ঞ আদালত চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ইজারাকৃত সম্পত্তি আমার চলাচলের একমাত্র রাস্তা যা বন্ধ হয়ে গেলে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উক্ত সম্পত্তিটি অন্যত্র ইজারা প্রদান করলে বর্তমান লীজ গ্রহীতার চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে একটি আদেশ জারি করেন। সেই সাথে তিনি উক্ত সম্পত্তি অন্যত্র ইজারা প্রদান না করে আমার নামে ইজারা প্রদানের আদেশ দেন। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তিতে আমি দখলে থাকলেও উপরোক্ত কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করে আসছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নানা আতঙ্ক ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি। ভিপি ওই জমিটি আমার বাড়ির সাথে লাগানো হওয়ায় আমার অগ্রাধীকার আছে এবং এখন অবধি খাজনা দিয়ে চেক কাটা আছে।
তাই ভুক্তভোগী আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এছাড়া চলাচলের সুবিধার্থে ইজারার মেয়াদ দীর্ঘ সময় অথবা স্থায়ী ইজারার প্রদানের জন্য আকুতি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজসহ তার ছেলে ইয়াছির আরাফাত নাহিদ উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ ওঠা লালন মুঠোফোনে বলেন, আমি কারও সম্পত্তি দখল করিনি। আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে দোকান নির্মান করেছি। আর ওই জায়গা যেহেতু সরকারি সম্পত্তি, তাই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে সকলে মিলে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।
জানতে চাইলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা।
