ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

লোকসানের কারণে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স

Oplus_19005440
Oplus_19005440

আধুনিকায়নের চার বছর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আর চালু হলো না জনপ্রিয় এ প্রেক্ষাগৃহ।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের মধুবন সিনেপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী আর এম ইউনূস রুবেল গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মধুবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখছি। মাসের পর মাস লোকসান খাচ্ছি। এই সপ্তাহে “নন্দিনী” ছবিটি চালাচ্ছিলাম, কিন্তু দর্শক পাইনি। ছবি চালানোর খরচই ওঠে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবশেষে তান্ডবের পর আর কোন ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি৷ অনেক সিনেমা হলে এসেছে কিন্তু কোন দর্শক সাড়া ফেলতে পারেনি। আমরা আর লোকসানে সিনেপ্লেক্সে চালাতে পারছি না৷ আমাদের বিদ্যুৎ বিল বাকি, কর্মচারীদের বেতন নিজেদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। এভাবে আর চালানো সম্ভব না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না। বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসতো। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলতো। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসান আর সম্ভব নয়। যদি বিদেশী সিনেমাগুলো চালানোর সুযোগ সরকার করে দেয় তবপ পরে আবার চালু করার বিষয়ে ভেবে দেখবো।’

মধুবন সিনেপ্লেক্সে আসন সংখ্যা ছিল ৩৩৬টি। আধুনিকায়নের পর এ হলেই রমরমা ব্যবসা করেছিল জনপ্রিয় সিনেমা ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’ ও ‘বরবাদ’। পরিবার নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শকদের জন্য সর্বশেষ ‘বরবাদ’ ছবির একাধিক মিডনাইট শোও চালানো হয়েছিল এখানে।

১৯৭৪ সালে শাবানা-ওয়াসিম অভিনীত ইবনে মিজান পরিচালিত ‘ডাকু মনসুর’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে মধুবন। তখন হলটির ধারণক্ষমতা ছিল ১০০০। মধুবনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট এ এম ইউনুস। বাবার সঙ্গে সিনেমা হলের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন ছেলে আর এম ইউনুস রুবেল। তিনিই ‘মধুবন’ হলটিকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। পরে ২০২১ সালে ১৫ অক্টোবর নতুন করে রুপান্তরের পর প্রথম শো চালু করা হয়৷

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print