নওগাঁর রাণীনগরে ধর্ষণকারী, দুশ্চরিত্র ও নারী লোভী এক শিক্ষকের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ওই শিক্ষকের নাম সাদেকুল ইসলাম পিটু। তিনি রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগারিক) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার রাণীনগর নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠন ও স্থানীয় অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর আহবানে উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাণীনগর নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠনের আহ্বায়ক মেজবাউল হক লিটনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য মতিউর রহমান উজ্জলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাণীনগর নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠনের সদস্য মো. কবির, অভিভাবক শহিদুল ইসলাম সুইট, প্রভাষক মারিফুল ইসলাম, নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠনের সদস্য নাছির উদ্দিন টনি, এলাকাবাসী এসএম মঞ্জুর রশিদ, সহকারী অধ্যাপক একেএম জাকির হোসেন, ঘোষগ্রাম কফিলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এমদাদুল ইসলাম এমদাদ, প্রভাষক খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, অভিভাবক মাহমুদুল হাসান মধু ও গোলাম মোস্তফাসহ অনেকেই।
এ সময় বক্তরা বলেন, কয়েক বছর আগে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কিছুদিন আগেও সেই ভিডিও আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। এতে ওই শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে প্রতিষ্ঠানে সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এরপরেও রহস্যজণক কারণে ওই প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষক পিটুর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষক পিটুর অপসারণ ও বিচারের দাবিতে আমরা মানববন্ধনে রাস্তায় নেমেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে অপসারণ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে নিরাপদ সমাজ চাই সংগঠন ও স্থানীয় অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি দেন মানববন্ধনকারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির সভাপতি মোহাইমেনা শারমীন বলেন, শিক্ষক পিটুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।