বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে সুইটি খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধু মঙ্গলবার সন্ধা ৬টার দিকে শেরুয়া বটতলা পূর্বপাড়া এলাকায় আত্মহত্যা করেছে। সে শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলার গ্রামের শাহ আলম মিস্ত্রীর মেয়ে।
মা ঝর্ণা বেগম জানান, গত রমজান মাসে ধুনট উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের আরকাটিয়া বাজার এলাকায় নাজমুল হকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের তিনমাস পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মেয়ে আমার বাড়ীতে চলে আসে। সোমবার সকালে ধুনটে উপজেলায় তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তারা তাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি। আমার মেয়ে বিকেলে বাড়িতে ফিরে আসে। সকালে আমি চাতালের কাজে ও নিহত সুইটির বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজে বাহিরে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় তার নিজ ঘরে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে তীরের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ঝুলে আছে। সন্ধায় কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে তাল লাশ ঝুলতে দেখে আমার চিৎকারে লোকজন এসে নামায়।
স্থানীয় মহিলা মেম্বর নাছিমা খাতুন জানান, সকাল থেকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কখন যেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সন্ধায় নিহতের মা কাজ থেকে ফিরে বিষয়টি দেখতে পায়। তবে মনে হয় হতাশার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।