ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ ১২:২৭ এএম

শোষণ করে যানবাহনের কার্বন ডাই-অক্সাইড

শ্বেত কাঞ্চনে স্নিগ্ধ বগুড়ার মহাসড়ক

সুবাসিত বা গন্ধহীন যেমনই হোক না কেন, সৌন্দর্য ছড়াবেই। স্নিগ্ধতা ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আর তাতে যদি থাকে শুভ্রতা তাহলে অনন্য রূপে মুগ্ধ করে সবাইকে। এমনই একটি ফুল শ্বেত কাঞ্চন। আপনমনে পতিত জায়গায় বেড়ে ওঠা ধবধবে সাদা এই ফুলটি নজর কাড়ে সকলের।

বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের দুই ধারে রয়েছে অনেক গাছ। এর মধ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও শাজাহানপুর উপজেলায় মহাসড়কের দুই ধার দিয়ে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সাদা রঙের এক ফুল। যানচালক, যাত্রী বা পথিকের মন ভালো করার জন্য যা যথেষ্ট। ওদিকে একবার চোখ গেলে আনন্দে ভরে উঠে মন। চোখের স্বস্তিতে মনে জাগায় প্রশান্তি। এখানে ফুটেছে শ্বেত কাঞ্চন।

অনেক প্রকার ও রঙের কাঞ্চন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এরমধ্যে সাদা রঙে ফুলকে শ্বেত কাঞ্চন বলা হয়।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বর্ষণ গ্রামের সোহান প্রামাণিক ও শাজাহানপুর উপজেলার টেংগামাগুর গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, বগুড়া-নাটোর মহাসড়ক দিয়ে চলাচলের সময় সাদা ফুলের গাছগুলো নজরে পড়ে। সেখানে ফুলগুলো সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। অনেক সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে ফুলের গাছগুলোর কাছে গিয়ে সময় কাটানো হয়। এতে অনেক ভালো লাগে। দুই ধারে সাদা কাঞ্চন ফুল থাকায় দেখতেও অনেক সুন্দর এই মহাসড়ক।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এসএম আল-আমিন জানান, কাঞ্চন ফুলটির আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ায়। বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই ফুল। শ্বেত কাঞ্চন ফুলটি ৩ মিটার উঁচু পত্রমোচী গাছ থেকে হয়। এর পাতা ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এবং ৭ থেকে ১২ সেন্টিমিটার প্রস্থ।

তিনি বলেন, গাছটির পাতার অগ্রভাগ দুই ভাগে বিভক্ত। ফুলটি বসন্তের শেষ থেকে শরৎকালের মধ্যে সবসময় ফুটে থাকে। শীতকালে এই ফুল ফোটে না। ফুলগুলো সাদা রঙের হয় এবং গন্ধহীন। এই ফুলটি ৫ সেন্টিমিটার চওড়া। পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি। ফুলের পাপড়িগুলো মুক্ত থাকে।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক আবু সাঈদ বলেন, সড়কে দুই ধারে নানা প্রজাতির গাছের দেখা মেলে। এগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাড়ি চালানোর সময় বের হয় কার্বন ডাই অক্সাইড। সেই কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয় সড়কে ধারে থাকা গাছ। এছাড়াও চলন্ত গাড়ি থেকে প্রচুর দূষিত পদার্থ বের হয়। গাছ সে সমস্ত শোষণ করে বায়ু দূষণ রোধ করে। মাটি ক্ষয় রোধের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি থেকেও সড়ক রক্ষা করে গাছ।

এনসিএন/এসকে

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সম্পর্কিত