ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

সান্তাহারে রেলওয়ের দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদ করে কর্তৃপক্ষের বৃক্ষ রোপণ

Oplus_16777216
Oplus_16777216

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে রেলওয়ে সরকারি সম্পত্তির দখল হওয়া জায়গা উচ্ছেদ করে বৃক্ষ রোপণ করলেন রেল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার দুপুরে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের রেললাইনের পাশে দখলমুক্ত জায়গায় প্রায় শতাধিক বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের ডিভিশনাল এস্টেট অফিসারের নির্দেশে এই বৃক্ষ রোপণ করেন সান্তাহার রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান। রেল কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে সাদুবাদ জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সান্তাহার রেলওয়ের সরকারি সম্পত্তির রেলাইনের মাঝে এবং এর আশেপাশে কেউ ক্ষমতার জোরে, কেউবা কৌশলে অবৈধ স্থাপনা করে আসছিলেন। সেগুলো স্থাপনা থেকে প্রতিদিন স্থানীয় প্রভাবশালীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে ৩০-৫০ টাকার চাঁদার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতেন। আর এসব অর্থ মাস শেষে চলে যেতো স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী সহ রেলওয়ের প্রশাসন ও রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পটেকে। যারফলে অর্থের কাছে তারা নিজেকে বিক্রি করেছেন। একারনে নিরব ভূমিকা থাকতেন এসব সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে রেলের দায়িত্বরতদের উদাসিনতায় রেলগেটের মধ্যে ট্রেনের কাটা পড়ে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এতে টনক নড়ে ঊর্ধ্বতন রেলকর্তৃপক্ষের। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার আরিফুল ইসলাম সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের রেললাইনসহ আশেপাশে বিভিন্ন অবৈধ দখল হওয়া জায়গা অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করেন। এরপর সান্তাহার রেলওয়ের জায়গায় স্বনামধন্য তিনটি খাবার হোটেল থাকা সত্বেও অদৃশ্য কারনে শুধু ডিজি হোটেল স্টারে ভিতরে প্রবেশ করে খাবার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন এস্টেট অফিসার। এবং পরিশেষে জানিয়ে দেন পরিবেশ ঠিকঠাক না রাখলে হোটেল নিলাম করে দেওয়া হবে। ফলে কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে সমালোচনা দেখা দিতে শুরু করে।

উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা, সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, আরএনবির ইন্সপেক্টর নূর-এ নবী সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে উচ্ছেদের কয়েকঘন্টা পরেই স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিএনপিসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দখলমুক্ত জায়গায় পুনরায় খুঁটি দিতে শুরু করেছেন এবং টাকার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ওইসব স্থাপনায় বসানোর বন্দোবস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এলাকাবাসী। যারফলে অনেকেই বলছেন যে লাউ সেই কদু? ঘটনাটি রেল বিভাগ জানার পর দখলমুক্ত জায়গায় বৃক্ষ রোপণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান জানান, দখলমুক্ত জায়গায় কেউ আর পুনরায় দখল করতে না পারে এজন্য বৃক্ষ রোপণ করা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রেললাইনের আশেপাশে বেশকিছু বৃক্ষ রোপণ করা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দুইশতাধিক বৃক্ষ রোপণ করা হবে বলে জানান তিনি।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print