ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল, তোলা হয়েছে আদালতে

Oplus_16777216
Oplus_16777216

রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ জালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতরাতে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্ত জালালকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। রাতেই তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযুক্ত হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ও ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালালকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে রবিউল হককে ছুরিকাঘাত করেন জালাল আহমদ। আহত রবিউল হক ২০১৮-১৯ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাকবিতণ্ডার জেরে রবিউলের রুমমেট জালাল আহমেদ তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। আহত রবিউল এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল হক বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল রুমে এসে লাইট অন করে এবং শব্দ করতে থাকে। ফলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে অযথা শব্দ করলে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এতে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ, বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে আঘাত করে। পরে কোনোভাবে আমি নিজেকে আত্মরক্ষা করি।

রাত ১টার দিকে হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে (জালাল) হল থেকে বহিষ্কার করা হলো। তার ছাত্রত্ব বাতিলেরও ব্যবস্থা করা হবে। রাতেই শাহবাগ থানা পুলিশকে জানিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কথা জানান তিনি।

আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে এ ঘটনার কোনো প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, জালাল আহমদের বিরুদ্ধে আগে একাধিক অভিযোগ আছে। আগের প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না। তবে আজকের ঘটনার পর সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

এ ঘটনায় হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, আমি নিজেও শিক্ষার্থীদের দেখেছি হল প্রশাসন বিশেষ করে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। তবে তারা যদি বুধবার কোনো এক সময়ে উপাচার্যের সঙ্গে বসে তাদের দাবি দাওয়া পদ্ধতিগতভাবে জানায়, সেক্ষেত্রে তাদের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print