ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে নওগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
শনিবার ১৩ ডিসেম্বর দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিএনপি, এনসিপি ও এবি পার্টি পৃথকভাবে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের কেডির মোড় দলীয় কার্যালয় হতে বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নওজোয়ান মাঠে গিয়ে সমাবেত হন।
সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নূর-ই আলম মিঠু, খাইরুল আলম গোল্ডেন, শফিউল আজম (ভিপি রানা), জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার টিপু, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মোস্তাক আহম্মেদ রাজাসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য চক্রান্ত চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনের প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যা খুবই দুঃখজনক। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আশা করছি হামলাকারীরা দ্রুত গ্রেপ্তার হবে। পরিশেষে বেগম খালেদা জিয়া সহ অসুস্থ সকলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান বক্তারা।
এদিকে, একই দাবিতে নওগাঁ জেলা এনসিপির উদ্দ্যোগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগের এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও নওগাঁ জেলা শাখার আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট কাজী মো: আতিকুর রহমান রিপন।
![]()
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- নওগাঁ জেলা এনসিপির সদস্য সচিব খন্দকার তারিকুল ইসলাম দীপু, যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগ, যুব শক্তি নওগাঁ জেলা শাখার সদস্য সচিব হাসিবুল হৃদয়, মুখ্য সংগঠক শাকিব খান প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী ছিলেন জুলাই অভ্যুথান এর অন্যতম মুখ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সংস্কার জোটের পক্ষের হাদীর ওপর সংঘটিত গুলিবর্ষণের নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
এই নিষ্ঠুর হামলা কেবল একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হয়নি, বরং এটি গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক বহুত্ববাদের বিরুদ্ধে এক কাপুরুষোচিত আঘাত। আমরা এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দাবি করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর পেছনের সকল ষড়যন্ত্রকারী ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
হাদির উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিনই এ ধরনের ঘটনাকে দেশের জন্য অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন সকল বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তিনি।