অক্টোবর ২, ২০২৩ ৮:৩৫ এএম

৪ সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে আত্মহত্যা করলেন মা

গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে চার সন্তানকে ধানের গোলার মধ্যে আবদ্ধ করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন এক মা। প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে সন্তানদের হত্যার পর ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার এসব তথ্য জানায় পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজস্থানের মানদালি স্টেশন এলাকায় ওই নারীর নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

ওই নারীর নাম উর্মিলা। তিনি ওই এলাকার যেথা রামের স্ত্রী। নিহত শিশুরা হলো‍, ভাবনা (৮), বিক্রম (৫), বিমলা (৩) এবং মনীষা (২)।
পুলিশ পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করে কল্যাণপুরী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি ডিভিশন (এফএসএল) দল। স্থানীয় তহসিলদার মান্দালি পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। প্রাথমিক তদন্তে চার সন্তানকে হত্যার পর ওই গৃহবধূ আত্মহত্যার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার চার সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন উর্মিলা। ওই দিন উর্মিলার স্বামী যেথা রাম দিন মজুরির কাজে মজুরির যোধপুরে চলে যান। দুপুরে ঊর্মিলা তাঁর সন্তান ভাবনা, বিক্রম, বিমলা এবং মনীষাকে মিলেট ট্যাঙ্কারে তালাবদ্ধ করেন। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন উর্মিলা।

এদিকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উর্মিলা ও তাঁর সন্তানদের দেখতে না পেয়ে তাদের বাড়িতে যান এক আত্মীয়। এ সময় তিনি উর্মিলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তাঁর চার সন্তানকে ধানের গোলায় বন্দী অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তিনি ও স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে কল্যানপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওই গৃহবধূর চাচা দুর্গারামের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে আসছিলেন উর্মিলা। এ নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

দুর্গারাম বলেন, ‌যেথা রাম আমার ভাতিজি ও তার সন্তানদের হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার ন্যায়বিচারের দাবি করছি।

সার্কেল স্টেশন অফিসার কমলেশ গেহলট, ওই নারীর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। শিশুরা একটি ড্রামের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। তাদের পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। গৃহবধূর এক আত্মীয় হত্যা ও যৌতুক না দেওয়ায় হয়রানির অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মরদেহগুলো পরবর্তীতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এনসিএন/বিআর

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সম্পর্কিত