অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রকল্প পরিচালকের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।
শনিবার (২৩, সেপ্টেম্বর) বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) তে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খাবারে মূলত ৩ কারণে অনিরাপদ হতে পারে। প্রথমত জীবানুবাহিত রোগের কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ তৈরি হয়। খাদ্য বাহিত ‘ই’ ভাইরাসের কারণে আমাদের শারিরীক জটিলতা তৈরি হয়। প্যারাসাইট বা কৃমিজাতীয় পরজীবি খাদ্যের মাধ্যমে মানব শরীরে প্রবেশ করে।
এছাড়া এমন কোন রাসায়নিক যা মানব সভ্যতার সাথে জড়িত। এমন রাসায়নিক কোন কারণে যদি খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে তাতে দীর্ঘ সময় পর শরীরে জটিলতা সৃষ্টি করে। কৃষি বা কীটনাশকের অতিরিক্ত প্রয়োগের মাধ্যমে শরীরে রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া প্রাণীজ খাদ্য যেমন- মাছ, মাংস এবং দুধের মাধ্যমেও আমাদের শরীরে রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, কারখানাগুলোতে সরকারি আইন মানা হয় না। মান নিয়ন্ত্রণ করে না। পোড়া তেল ব্যবহার করা হয়। আইনের কোন তোয়াক্কা করে না। এ ধরণের অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ)-র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মোঃ খুরশীদ ইকবাল রেজভী, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রকল্প পরিচালকের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) জনাব মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ, সিনিয়র কনসালটেন্ট সাঈদ হোসেন, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ রাসেল, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার ডেপুটি ডিরেক্টর ফয়সাল আহমেদ, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল রিজভী, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।