বগুড়ায় সোমবার রাত ২ টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত প্রবল বর্ষনে পৌর এলাকার সড়ক জনপথ তলিয়ে গেছে। বার বার জলাবদ্ধতার কাছে পৌরবাসি অসহায় আত্মসমর্পন করেছে।
আরো পড়ুনঃ বগুড়ায় ১২ ঘন্টায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে পড়ায় মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির পানি ও ড্রেনের নোংরা পানি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ময়লা ও নোংরা পানি ঠেলে পথ চলতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে পথচারীরা। বৃষ্টির পানিরে সাথে ড্রেনের নোংরা পানি বাড়ি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ায় মানুষ অস্বস্তিতে পড়ছে। মুসল্লিরা নোংরা পানি ঠেলে মসজিদে যেতে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থায় কারনে পানি শহর সংলগ্ন করতোয়া নদীতে যেতে না পারায় সামান্য বৃষ্টিতে শহর তলিয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টির পর গতকাল সোমবার রাত ২ টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২ পর্যন্ত জেলায় ১৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমটি জানিয়েছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে জেলা শহরের পাইকারি কাঁচা বাজারে কোন সবজি চাষীরা আসতে পারেনি। বাজার ক্রেতার সংখ্যাও ছিল কম। শহরে জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে বগুড়া পৌর মেয়র দুষলেন পৌরবাসিকে ।
তিনি বলেন, “মানুষ সচতেন না হয় যেখানে সেখানে পলেথিন, ময়লা আবর্জনা ফেলায় ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এ মৌসুমে এটি হলো ব্যাপক ভারী বৃষ্টিপাত। জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি সরকারর কাছে আর্থিক সহয়তা চান।”