বগুড়ার আদমদীঘিতে বন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে আক্কাছ আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বেলা ১১ টায় আদমদীঘি-আবাদপুকুর সড়কে পাঁল্লা মোড় নামক স্থানে এই গাছ কাটার ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি জানাজানি হলে গাছটি রেখে সেখান থেকে চলে যান আক্কাছ আলী।
জানা যায়, আদমদীঘি-আবাদপুকুর সড়কে দুই পাশে বন বিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির সরকারিভাবে গাছ লাগানো ছিলো। যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকেন স্থানীয় বন কর্ককর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাদের নজর এড়িয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটছিল আক্কাস আলী নামের এক ব্যক্তি। আক্কাস আলী উপজেলা সদর ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আদমদীঘি-আবাদপুকুর সড়কের পাশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। বাড়ির পাশে গাছটি থাকায় এমন সুযোগে সৎব্যবহার করেছেন তিনি। রবিবার সকালে ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয় পথচারীরা যাতায়াত করতে গিয়ে গাছ কাটার বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এসময় স্থানীয়রা তাকে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন আদমদীঘি বন কর্মকর্তা তাকে কাটার অনুমতি দিয়েছেন। এমন উত্তরে স্থানীয়দের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। পরে সেখানে আস্তে আস্তে লোকজন জমা হতে শুরু করলে সড়কে গাছটি রেখে চলে যান আক্কাস আলী ও গাছ কাটার শ্রমিকরা। এরপর আক্কাস আলীর তথ্য অনুসারে ওই বন কর্মকর্তার নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলে সংযোগ বন্ধ দেখায়।
পথচারী আলিম বাবু জানান, সকালে আদমদীঘি আসতে দেখি রাস্তার ধারে সরকারি গাছ এক ব্যক্তি কাটছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে বাড়ির কাজে ডালপালা দরকার। তার নাকি অনুমতি আছে।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, কোথায় গাছ কাটা হচ্ছে এ বিষয়ে আমার জানা নেয়। তাছাড়া গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের থেকে কোন অনুমতি নেয় নি। এখন বিষয়টি কি সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি আইনগত ভাবে কোন অনুমতি গ্রহণ না করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
